বিএনপির প্রধান শত্রু শেখ হাসিনা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হত্যার জন্য এতো ব্যর্থ চেষ্টার পরও শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন এবং এত চক্রান্তের পরও ক্ষমতায় আছেন, এটাই বিএনপির অন্তর্জ্বালা।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় খামারবাড়ির কেআইবি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। বারবার হত্যার চক্রান্তের পরও মাথা নত করেননি শেখ হাসিনা।”
শেখ হাসিনা কত জনপ্রিয় সেটা নির্বাচনে টের পাবেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “১০ ডিসেম্বর নিয়ে এখন আবার বিএনপির ডিফেন্সিভ মুড কেন? মনে হয় এই তো ক্ষমতায় এসে যাবো- এমন একটা ভাব ছিল! এখন সে ভাব কোথায় গেল? বলেছিল বিজয় মিছিল করবে ঢাকায়। এখন ভিন্ন সুর। জানি না এটা আবার কোন কৌশল!”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি মুখে রক্ষণাত্মক, কিন্তু অন্তরে আক্রমণাত্মক শোডাউন। কাজেই আমরা প্রস্তুত আছি। খেলা হবে, ডিসেম্বরেই খেলা হবে।”
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক বিশ্বাসঘাতকতা না করলে খুনিদের সাহস হতো না সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “পলাশীর মীরজাফরের মতো ৭৫-এর মোশতাকও তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।”
তিনি বলেন, “জিয়া খুনিদের বিদেশে পাঠিয়েছে, পুরস্কৃত করেছে। এগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে ইমডেমনিটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর জবাব বিএনপি নেতারা দিতে পারেন না। প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা বিএনপি, তাদের নেতা জিয়া এর সূচনা করেন।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ফখরুল এখন বলছেন দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্তেও দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না; বরং বিএনপিই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।”
নদী বন্দর/এসএইচ