বাংলাদেশের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রশংসা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৮-১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ গর্বের কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল (সোমবার) প্রতিবেশী দেশ ভারতের আসামের স্পিকার আমার এখানে এসেছিলেন। তারা ১১ জন সদস্য এসেছিলেন। তারা কথায় কথায় আমাদের প্রাণের পণ্যের কথা বলছিলেন। আসামের প্রত্যন্ত গ্রামে ঢুকে গেছে প্রাণের পণ্য। খুব ভালো লাগছিল। তাদের কথা শুনে মনটাই বড় হয়ে গেলো এই ভেবে যে, আমাদের পণ্য ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গেছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বেশি জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ছয় প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাণিজ্যমন্ত্রী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রপ্তানি ট্রফি তুলে দেন।
কৃষি প্রক্রিয়াজাত, প্লাস্টিক ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় দেশের শীর্ষ এ শিল্পগ্রুপকে সোনাসহ ছয়টি রপ্তনি পদক দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বছর ৭২টি কোম্পানি রপ্তানি ট্রফি পেয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ-আরএফএলের ছয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এর আগে ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পাঁচটি করে রপ্তানি পদক পায় প্রাণ-আরএফএল। তবে এবার পদক সংখ্যায় আগের সংখ্যাকেও ছড়িয়ে যায় এ শিল্প গ্রুপ। এছাড়া রপ্তানিকারক হিসেবে এ নিয়ে টানা ১৮ বার সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল।
গতবারের মতো এবারও এগ্রো প্রসেসিং খাতে (তামাকজাত পণ্য ব্যতীত) তিনটি পুরস্কারই পেয়েছে প্রাণ। এ খাতে প্রাণ ডেইরি লিমিটেড স্বর্ণপদক, প্রাণ এগ্রো লিমিটেড রৌপ্য ও প্রাণ ফুডস লিমিটেড ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে। অন্যদিকে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে যথাক্রমে আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড ও বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানিতে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
নদী বন্দর/এসএইচ