প্রতিটি সংগ্রামেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলনে শহিদদের তালিকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীই বেশি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমাদের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস”।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ছাত্রলীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। করোনায় যখন বাবা-মায়ের মৃত্যুতে ভাইবোন পর্যন্ত মরদেহ ফেলে চলে যেত বা আক্রান্ত হলে ছেড়ে চলে যেত-তখন তাদের পাশে ছিল ছাত্রলীগ। তাদের চিকিৎসা দেওয়া, খাদ্যের ব্যবস্থা করার কাজটি করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। সিলেটের বন্যার দুঃসময়ে মানুষের পাশেও ছিল এ ছাত্রলীগ। ওই দুর্গম এলাকায়ও তারা ছুটে গেছে, মানেুষের পাশে থেকেছে। কৃষকের ধান কাটায়ও অগ্রবর্তী ছিল ছাত্রলীগ। আমার নির্দেশ মতো সবার আগে তারা কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে।”
এ সময় বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা দেশের স্বাধীনতাই চায়নি তারা এ দেশের উন্নয়ন কখনোই দেখবে না। মানুষ সামনের দিকে আগায়, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পেছনে যায়, ভূতের মতো। তারা মনে হয়-ভূতের রূপ নিয়েই আসে আমাদের দেশে।”
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সাড়ে ৪ বছর পর এই সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের ভিড়ে মুখর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা।
নদী বন্দর/এসএইচ