বগুড়ার ধুনটে অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালিয়ে সাত শ্রমিককে গ্রেফতার করে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত চারটি নৌকা ও চারটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ধুনট থানা থেকে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা নদীর চর এলাকায় পুলিশের সহযোগীতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারের পর কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- ধুনট উপজেলার রাধানগর গ্রামের ফরিদ সরকারের ছেলে সুজাত আলী (২৩), আব্দুর রহমানের ছেলে জেল হক (৩৫), বৈশাখী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সুমন সরকার (৩২), পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মহাব্বত আলী (৩২), সিরাগঞ্জের তাড়াশের বিলসারা গ্রামের আছের আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (৫০), টাঙ্গাইলের কালিহাতীর গোহালিয়া গ্রামের আজাহার মণ্ডলের ছেলে ঠান্ডু মিয়া (৩৫) ও বেড়িপটল গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে হোসেন আলী (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের প্রতিবছর নদীভাঙনে বৈশাখী, রাধানগর, বথুয়ারভিটা, কৈয়াগাড়ি, নিউ সারিয়াকান্দি, ভূতবাড়ি, শিমুলবাড়ি, পুকুরিয়া, বানিয়াজানসহ প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়ে যমুনায় বিলীন হয়েছে। ভাঙনকবলিত এসব গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।
এ অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী, রাধানগর ও বথুয়ারভিটা নামে কয়েকটি চরের জমি থেকে জোর করে একাধিক খননযন্ত্র বসিয়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হযরত আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারদলীয় লোকজন অবৈধভাবে বালু তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন তারা প্রায় ৪০-৫০টি খননযন্ত্র বসিয়ে বালু তুলে বাল্কহেড ও নৌকা দিয়ে পরিবহণ করে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, যমুনা নদীর চর কেটে বালু তোলার অভিযোগে চারটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। বালু তোলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়। সোমবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে