শীত কমে শৈত্যপ্রবাহ দূর হয়েছে। এ অবস্থায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও এখনো দেশের দুটি স্থানে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা বিরাজ করছে, তবে তা বিচ্ছিন্নভাবে থাকায় এ দুটি স্থানে শৈত্যপ্রবাহ ঘোষণা করেনি সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মাঘ মাসের ১০ তারিখ। গত ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট ছিল। এরপর শীত কমছিল। তাপমাত্রা বাড়ার ধারা জানুয়ারির বাকি দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, একদিন আগে যা ছিল ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. লতিফুল নেওয়াজ কবির জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনে রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড এবং কক্সবাজারে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নদী বন্দর/এএন