চট্টগ্রামে শীতকালিন শাক সবজি উৎপাদন বেড়েছে। দিন দিন শীতকালিন সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এতে করে মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে শীতকালিন সবজি মুলা, লাল শাক, জালং শাক, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, সীম, লাউ, বরবটি, ওল কপি, মিষ্টি কুমড়া, করলার। ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন কৃষকরাও আগ্রহ নিয়ে করছেন চাষাবাদ। যার কারণে প্রতি বছর বাড়ছে সবজি উৎপাদন। এ বছর ৬ লাখ ১০ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন শীতকালিন শাক সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, গত বছর চট্টগ্রামে ২৯ হাজার ৬১৮ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি লাল শাক, মুলা, ফান্সবীনসহ অন্যান্য চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর তা প্রায় তিন শতাংশ বেড়ে ৩২ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি আবাদ হয়েছে। কৃষকরা ভালো লাভবান হওয়ার কারণে দিন দিন তারা কৃষিতে ঝুঁকছে। ফলে চট্টগ্রামে উৎপাদিত শীতকালিন সবজি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অফিস সূত্র জানায়, সবচেয়ে বেশি মুলা আবাদ করা হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। এ উপজেলায় ৪২০ হেক্টর জমিতে মূলার আবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ১৭ উপজেলা মিলে মুলার আবাদ হয়েছে ২৪শ ৯ হেক্টর জমিতে। একইভাবে লাল শাক আবাদেও শীর্ষে রয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলা।
এ উপজেলায় লাল শাক আবাদ হয়েছে ৪৮০ হেক্টর জমিতে এবং সব মিলিয়ে ১৮ থানায় ১৬শ ৬০ হেক্টর জমিতে লাল শাক আবাদ হয়েছে। জালং শাক আবাদ হয়েছে ৭১৬ হেক্টর জমিতে, বেগুন ৩১শ ১৫ হেক্টর, টমেটো ৩৪শ ৯ হেক্টর, ফুলকপি ১১শ ৮৫ হেক্টর, বাঁধাকপি ১১শ ৭৬ হেক্টর, গাজর ২৯৯ হেক্টর, শিম ৬ হাজার ৬৯৬ হেক্টর, লাউ ২৪শ ২৬ হেক্টর, বরবটি ১৪শ ১৩ হেক্টর, ওলকপি ৩০ হেক্টর, শালগম ১০৮ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১৮শ ২৯ হেক্টর, করল ৭৯৪ হেক্টর, বাটিশাক ৪শ ৪ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
এছাড়াও ফান্স বীন চাষ হয়েছে ২৪শ ৪৯ হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে এ সবজি মীরসরাই, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, রাউজান, বোয়ালখারী ও পটিয়া উপজেলায় বেশি চাষাবাদ হয়েছে। পাশাপাশি গত বছর ৪ হাজার ৪৬৩ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হলেও এ বছর তা কমেছে। এ বছর আলুর আবাদ হয়েছে ৪১শ ৯০ হেক্টর জমিতে। তবে গত মিষ্টি আলু ১৮শ ৫৯ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হলেও এ বছর তা বেড়ে ২ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। বেশির ভাগই সবজি এখনো জমিতে আছে। এ সব সবজি বাজারে আসলেই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে শাক সবজির দাম আশা সংশ্লিষ্টদের।
নদী বন্দর/এসএইচ