সরকারের পতন ঘটাতে ব্যর্থ বিএনপির জনগণের কাছে পতন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, বিএনপি কথায় কথায় বলে- ‘বর্তমান সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরবে না’। তাদের এ কথা গত ১৪ বছর ধরে শুনছি। সরকারের পতন ঘটাতে গিয়ে দেখা গেলো বিএনপিই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণের কাছে তাদের পতন হয়ে গেছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চার পথে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আরও গভীরে প্রোথিত করার ক্ষেত্রে বিএনপিকে ‘বড় প্রতিবন্ধকতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা গণতন্ত্রকে হত্যার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সেই অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সব প্রচেষ্টা তারা চালিয়েছেন। তারা আসলে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চান বলেই সেটিকে ঢাকার জন্য নানা ধরনের বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। পৃথিবীর অন্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলতি সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন ক্ষমতাসীন সরকার পদত্যাগ করে না।
বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু পাকিস্তানে আছে। উনারা পাকিস্তানকে পছন্দ করেন তো, সেজন্য পাকিস্তানের অনুকরণে বাংলাদেশে নির্বাচন চান। কিন্তু পাকিস্তানি ধারায় এদেশে কোনো কিছু হবে না।
নদী বন্দর/এসএইচ