একের পর এক গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বুড়িগঙ্গা তীরের বহুতল ভবন। ঢাকার চারপাশে নদী তীর রক্ষার অভিযানে উচ্ছেদ চালানো হয় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে। এ চরে দখল করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)। অভিযান শুরু পরপরই দখলদাররা জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম মেনেই এ উচ্ছেদ পরিচালনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে অভিযানের শুরুতে বুড়িগঙ্গা তীরের জায়গায় থাকা একটি পাঁচ তলা ভবনের ১০ ফুট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর একে একে উচ্ছেদ করা হয় তীর দখল করা ২৫ থেকে ৩০টি পাকা স্থাপনা।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের(সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী, উপ-পরিচালক এহেতাশামুল হক পারভেজ, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম ও আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিএ জানায়, সিএস ও আরএস অনুযায়ী জরিপ করে অভিযান চালানো হচ্ছে। এলাকার পুরাতন ১৬টি নদীর সীমানা পিলারের নকশায় ভুল রয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। উচ্ছেদ শেষে উদ্ধার করা জায়গায় নদী তীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় স্থায়ী সীমানা পিলার বসানো হবে।
এর আগে সোমবার দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে উচ্ছেদ চালানো হয়। অভিযানে নদীর তীরে অবৈধভাবে দখল করা প্রায় অর্ধশত আধাপাকা, বস্তিঘর, টিনশেড স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। তবে বড় বড় স্থাপনা বা বহুতল ভবন সরাতে আরও একদিনের সময় বেঁধে দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
চার দিনব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযানের প্রথমদিনে (সোমবার) পাকা, আধাপাকা ও টিনসেডসহ ৪৫/৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দুপুরের দিকে কামরাঙ্গীরচরের বেড়িবাঁধ এলাকার হাসলাই মুসলিমবাগ এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে ঠোঁটা পর্যন্ত একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর উদ্ধারে নদীর সীমানা পিলার থেকে কোথাও ২০ ফুট, কোথাও আবার ৪০ ফুট ভেতরে থাকা সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এ উচ্ছেদ অভিযানে ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে