২২৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৬ টাকা দিয়ে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রেস কোম্পানি ও বাংলাদেশের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে এ সার কিনতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশের কাছ থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১৫০ টাকা। কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে এ সার কেনা হবে।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রেস কোম্পানি থেকে ১৮তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিকটন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৬ টাকা। বিসিআইসির মাধ্যমে এ সার কেনা হবে।
এর আগে ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুয়েল ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এ সার কিনতে খরচ ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি ৮ লাখ ৪ হাজার টাকা। এতে প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য নির্ধারিত হয় ৪৭০ মার্কিন ডলার।
ওই সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এতে প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭০ মার্কিন ডলার।
নদী বন্দর/এসএইচ