ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করেছে ইতালির কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া সবাই লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ইতালি যাচ্ছিলেন। উদ্ধারের পর তাদের সিসিলিয়ান শহর পোজালোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ইতালীয় নিউজওয়্যার এএনএসএ’র বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানায়।
ইতালির কোস্টগার্ড জানায়, খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে অভিবাসীদের বহন করা নৌকাটি রোববার (১২ মার্চ) ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ৩০ অভিবাসী সমুদ্রে ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন অভিবাসী প্রাণ হারায়। দুই সপ্তাহ পার হতেই আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটনায় অভিবাসনীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনায় পড়েছে ইতালি।
রয়টার্স বলছে, অভিবাসীদের দুর্দশার জন্য ইতালিকেই দায়ী করেছে অ্যালার্ম ফোন নামের একটি দাতব্য সংস্থা। সংস্থাটির দাবি, শনিবার (১১ মার্চ) অভিবাসীদের বহন করা নৌকাটি সমস্যায় পড়েছে বলে বারবার জানানো হলেও, ইতালি সেখানে কোনো উদ্ধারকারী দল পাঠায়নি।
রোববার গভীর রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যালার্ম ফোন বলে, নৌকাটিতে ৪৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল। স্পষ্টতই ইতালি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কারণ তাদের কোস্টগার্ড উদ্ধারে গেলে বিপদে পড়া অভিবাসীদের ইতালিতে আনতে হতো।
অবশ্য ইতালি কোস্টগার্ড বলছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যাওয়ার ঘটনাটি ইতালীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এলাকার (এসএআর) বাইরে ঘটেছে। তবে অভিবাসীদের বাঁচাতে রোম ওই এলাকায় থাকা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে অনুরোধ করে।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতালিতে এ বছর সমুদ্রপথে অভিবাসীদের আগমন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। এমনকি, শুধু ৯ থেকে ১১ মার্চ সময়ের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ইতালি পৌঁছেছেন। গত বছরের এ সময়ের মধ্যে মাত্র ৬ হাজার ১৫০ জন অভিবাসী ইতালি প্রবেশ করেন। কিন্ত এবার এরই মধ্যে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসী দেশটিতে এসেছেন।
সূত্র: রয়টার্স
নদী বন্দর/এসএম