1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন তিস্তা নদীতে আরও দু’টি খাল খনন, যা জানা যাচ্ছে - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ১২৪ বার পঠিত

সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীতে দু’টি খাল খনন করার খবর প্রকাশ হবার পর, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেবার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হবে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না’ বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

চলতি মাসের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তা প্রকল্পের অধীনে আরো দু’টি সেচ খাল খননের কথা জানা যায়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক হাজার একর জমির মালিকানা পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগকে হস্তান্তর করা হয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এই দুটি খাল খনন করা হলে ভারতের জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার জেলার কৃষকরা উপকৃত হবে। কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কারণ, এর ফলে তিস্তার বাংলাদেশ অংশে পানির প্রবাহ আরো কমে যাবে।

তিস্তায় এই খাল খনন বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেন, ‘অফিসিয়ালি আমরা এখনো কিছু জানি না বা আমাদের কাছে আসে নাই।’ গত রবিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হবে।

তবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আহসান বলেন, ‘এ বিষয়টা আমাদের কাছে এখনো, ওরকম কোন তথ্য আসে নাই।… সেরকম তথ্য আমরা যদি পাই আমাদের কূটনৈতিক চ্যানেলে তাহলে আমরা অবশ্যই সে বিষয় নিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো আরকি আমরা।’

বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন যে, তিস্তা প্রকল্পের অধীনে খাল খনন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে গত ১৬ই মার্চ ভারতের যৌথ নদী কমিশনের সদস্যের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির কোন উত্তর পাননি।

আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি এবং তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছি।’ তিনি বলেন, এমনিতে খাল সম্প্রসারণ করলে অসুবিধা নাই। কারণ গজলডোবায় বাঁধ আগে থেকেই আছে এবং খালও আগে থেকেই আছে।

‘গজলডোবা ব্যারেজের ইমিডিয়েট আপস্ট্রিমে দুই দিকে দুইটা ডাইভারশন ক্যানাল আছে। পশ্চিম দিকে একটা, পূর্বদিকে একটা। পত্র-পত্রিকায় জানলাম, পূর্বদিকের ক্যানালকেই ওরা বির্ধিত করবে।’ যৌথ নদী কমিশনের এই সদস্য বলেন, বর্ষাকালে কৃষিকাজের জন্য পানি সরালে এর ফলে খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি শুষ্ক মৌসুমে পানি সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য সংকট সৃষ্টি করবে।

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি আটকে আছে। বরাবরই পানি না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

নদী বন্দর/এসআরকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com