1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মিলগেটে ব্রয়লারের কেজি ১৯০-১৯৫ টাকা নির্ধারণ - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৭৯ বার পঠিত

মুরগির মিলগেটে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করেছে চার কোম্পানি। আগামীকাল থেকে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশের মিলগেটে এ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে মুরগির দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো মিলগেটে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এর আগে কোম্পানিগুলো অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্রয়লার মুরগির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। এরপর সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্ধারিত দামের কথা জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

এ সময় তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো আজ ২৩০ টাকায় মিলগেটে ব্রয়লার বিক্রি করেছে। কাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।

তিনি বলেন, আজ ভোর রাতে গোয়েন্দা সংস্থা ও ভোক্তার কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছেন সারাদেশের পাইকারিতে ২২০-২৩০ টাকায় ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে। সেটা হাত বদলে ২৬০ হচ্ছে খুচরায়।

সফিউজ্জামান বলেন, প্রতিটি ভোক্তা এখন মুরগির দাম নিয়ে সাফার করছে। আশা করছি এ পদক্ষেপের কারণে দুই-তিন দিনের মধ্যে মুরগির দাম কমে আসবে।

তিনি বলেন, আজ কোম্পানিগুলো আমাদের বলছে ফিডের দাম বাড়ার কারণে এখন উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে আমরা এও বলছি মুরগির দাম কোনোভাবেই ২০০ টাকার বেশি যৌক্তিক নয়। কোনোভাবে ৫০-৬০ টাকা বাড়তি দাম কাম্য নয়।

আমরা কোম্পানিগুলোকে বলেছি, কোন খাতে সরকার বেশি ইন্টারাপ্ট করলে সমস্যা, আমরা আপনাদের সাপোর্ট দেবো। কিন্তু বাড়তি দাম মানবো না। তাই তারা দাম কমানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে।

এখন মিলগেট থেকে দাম নিধারিত হবে। এরপর হাত বদলের দাম কতো বাড়ছে, সেটা আমরা দেখবো। গোয়েন্দা সংস্থা তদারকি করবে।

তিনি বলেন, এরপর কোনো সমস্যা হলে, সমাধান না হলে আমদানি উন্মুক্ত করে দেবো।

jagonews24

এসময় কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কাজী ফার্মসের কর্নধার কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, অনেক ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। এ জন্য ফার্মসে দাম নির্ধারণ করে দেব। এরপর বাইরে অনেক হাতবদল হয়। তারপর দাম কত হচ্ছে, সেটা ভোক্তা অধিদপ্তর দেখবে।

তিনি বলেন, সারাদেশে মুরগি উৎপাদনে ঘাড়তি হয়েছে। ৩০ বছরের ব্যবসায় এমন অবস্থা দেখিনি। সরবরাহ কম থাকার কারণে মুরগির দাম বাড়ছে।

তিনি বলেন, আমরা যে চার কোম্পানি আছি, সে নির্ধারিত দামে বিক্রি করবো। খাবারের দাম ও খরচ কমতে পারে, তখন সেটা আরও কমাবো।

সফিউজ্জামান বলেন, মার্কেট লিডাররা এ দাম নির্ধারণ করলো। বাজারে এর প্রভাব আসবে। আজ ২৩০ বিক্রি করেছে। ৪০ টাকা কমেছে। বাজারে এখন ভোক্তারা ৩০-৪০ টাকা কমে পাবে বলে আশা করি।

ভোক্তা অধিদপ্তর বলেছে, এর আগে গত ৯ মার্চ পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভায় পোল্ট্রি (ব্রয়লার) মুরগি উৎপাদন ব্যয় করপোরেট পর্যায়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ও প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, খুচরা পর্যায়ে পোল্ট্রি (ব্রয়লার) মুরগির মূল্য ২০০ টাকার অধিক যৌক্তিক নয় বলে প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়।

এরপর বর্তমানে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে মুরগির বাজার। খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। পাশাপাশি কাপ্তান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি সিলেটে ২২৬ টাকা, কুমিল্লায় ২২৪ টাকা, হবিগঞ্জে ২২১ টাকা, নরসিংদীতে ২২০ টাকা, টাঙ্গাইলে ২১৮ টাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ২১৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায় ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারককালে।

গত ৯ মার্চ যৌক্তিক মূল্যে পোল্ট্রি (ব্রয়লার মুরগি) বিক্রয় করবেন বলে ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্যবসায়ীরা সেটা করেনি। বরং আরও অধিকমূল্যে তা বিক্রি হচ্ছে, যা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ২১ (খ) ধারা অনুযায়ী ভোক্তা- অধিকারবিরোধী অপরাধ। সেজন্য বৃহস্পতিবার মুরগির অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

নদী বন্দর/এসআরকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com