পঞ্চগড়ের সমতলের চা শিল্প অঞ্চলে গমের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। ফলন ভালো হওয়ায় এবার অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সবুজের চা অঞ্চলে মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে গমের সোনালি শীষ। কোথাও কোথাও গম কাটা হচ্ছে হারভেস্টার মেশিনে। গম কেটে মাঠ থেকেই ঘরে গম তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এবার গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ মণ গম উৎপাদন হবে বলে ধারণা কৃষকদের। গমের ন্যায্যমূল্য পাওয়া গেলে এ আবাদে অধিক লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গম চাষে বেশি ঝুঁকেছেন তারা। গম চাষে সেচ, সার, কীটনাশক ও বালাইনাশকসহ তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না বলে খরচও অনেক কম। আর কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করা যায়। এছাড়াও গমে পোকামাকড়ের আক্রমণও তেমন একটা হয় না। চলতি বছর গমের ভালো দাম পাবেন বলে আশা করেছেন কৃষকরা।
শালবাহান ও তিরনইহাট ইউনিয়নের আব্দুল কাদের ও ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন গম চাষি জানান, এ বছর আবহাওয়া ঠিক থাকায় গমের আবাদ ভালো হয়েছে। তাদের প্রত্যাশা, বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ মণ গম উৎপাদন হবে।
তেঁতুলিয়ার বাবুয়ানিজোত গ্রামের গম চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও গম চাষ করেছি। এ বছর দেড় বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। গম কাটা শুরু হয়েছে। আশা করছি ভালো দাম পাব। ন্যায্য দাম পেলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে গমের আবাদ করার কথা ভাবছি।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘পঞ্চগড়ে এবার গমের ফলন ভালো হয়েছে। মাঠে গম কাটা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ গম কাটা হয়ে গেছে। এবার ২০ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এখান থেকে প্রায় ৮৩ হাজার ৫০০ টন গম উৎপাদন হবেআশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে উন্নতজাতের বারি গমের বীজ, সার ও বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ