প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকেই হাজারো মানুষ অপেক্ষা করছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ আনা হয় সকাল ১০ টার কিছু পরে। এরপর হাজারও মানুষ জানিয়েছেন শ্রদ্ধা।
এদিকে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে পাশে রাখা শোকবইয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য মির্জা ফখরুল লিখেছেন শোকগাঁথা।
শোকবইতে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমৃত্যু দেশ, জাতি এবং মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে তার অবদান অসাধারণ।’
‘একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক, সৎ, সাহসী, স্পষ্টবাদী, গণতন্ত্রকামী অসাধারণ মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তার চলে যাওয়ায় জাতির যে শূন্যতা হলো তা পূরণ হবার নয়। দলের পক্ষ থেকে, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে জানাই অপরিসীম শ্রদ্ধা।’
সবশেষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাক্তার আব্দুল কুদ্দুস, ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাদেক খান, বিএনপিনেতা খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসআরকে