প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়ায় ভিড় বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী ও যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল পার হচ্ছে। লঞ্চেও আসছেন অনেকে। তবে দুপুরের তুলনায় সকালে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল বেশি। প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এসময় তীব্র গরমেও সবার চোখেমুখে ছিল আনন্দের ছাপ।
রুহান, শাহজাহান মিয়া, আব্দুল আলিম, ফাহিমা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, এবার ঈদের আগে বেশ কয়েকদিন সময় পেয়েছেন। যে কারণে চাপ বাড়ার আগেভাগেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। পাটুরিয়া ঘাটে এসে সরাসরি ফেরি পেয়েছেন। দৌলতদিয়া প্রান্তেও কোনো সিরিয়াল নেই। ফলে সহজেই বাস টার্মিনালে চলে এসেছেন।
তারা বলেন, আগে ঈদে এ রুটে দীর্ঘসময় নদী পারের অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তি পোহাতে হতো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে তাদের সেই ভোগান্তি দূর হয়েছে। এখন তারা ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ২০টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে তিনদিন ও পরের তিনদিনসহ মোট সাতদিন পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি পচনশীল মালামালবাহী ট্রাক পারাপার অব্যাহত থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএর দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আফতাব হোসেন বলেন, এ নৌরুটে ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে। সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তবে লঞ্চের যাত্রী ধারণক্ষমতা মেনেই পারাপার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহনগুলো নদী পার হতে পারছে। এবার ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়িতে পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া প্রান্তের তিনটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তিনটি ঘাটে রয়েছে মোট ছয়টি পকেট। বর্তমানে ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে।
নদী বন্দর/এসএম