দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটা আওয়ামী লীগ চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা চাই বিএনপির সঙ্গে খেলতে, কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বারবার পালিয়ে যায়।
সোমবার (৮ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো পালিয়ে বেড়াক এটা আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বারবার পালিয় যায়। এটিই হলো দুঃখজনক।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর ও আগামী নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোভাব যখন ব্যক্ত করেছেন তখন সরকারের মনোভাবও ব্যক্ত করেছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুটি বিষয়ই পরিষ্কার। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
বিএনপির দাবি মেনে তাদের নির্বাচনে আনা কী সম্ভব- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আবদার, তারা নানা ভাষায় বলে, নানা ছুতোয় বলে, নানা কৌশলে বলে। কিন্তু তাদের সব কথার সারমর্ম হচ্ছে, তারা এমন একটি ব্যবস্থা চায়, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হবে সে নিশ্চয়তা দরকার।
এটিতো নির্বাচন কমিশন ও জনগণ দিতে পারবে না। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। যেভাবে নির্বাচন যুক্তরাজ্য, ভারতবর্ষে, জাপানে, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ও যুক্তরাষ্ট্রে হয়। সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন হবে। আশা করবো বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য আসনের বণ্টন চাচ্ছে বিএনপির শরিকদলগুলো, এ বিষয় আপনি কীভাবে দেখেন- এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শরিকরা আসন চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিএনপিকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। শরিকরা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করছে তার মানে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে। এটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে।
নদী বন্দর/এসএস