দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিয়েছে। এজন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় কূলে ফিরতে শুরু করেছে গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার।
ঘূর্ণিঝড় মোখায় আতঙ্ক থাকলে এখনো তেমন প্রভাব পড়েনি উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। তবে মোখা আক্রমণের আগেই নিরাপদে কূলে ফিরতে শুরু করেছে গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) পটুয়াখালীর দুটি বড় মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরে ঘুরে দেখা যায়, সমুদ্রে অবস্থান করা অনেক ট্রলার এরই মধ্যে বন্দরে চলে এসেছে।
এমভি আব্দুল্লাহ ট্রলারের মাঝি মো. নয়া বলেন, ‘চারদিন আগে সাগরে গিয়েছিলাম। গতকাল বিকেল থেকে হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হবে সংবাদ পেয়ে আমরা তীরের দিকে ফিরতে শুরু করি। আজ সকালে তীরে পৌঁছেছি। আরও অনেক ট্রলার রয়েছে যারা আসছে।’
আলীপুর বন্দরের সাত ভাই ফিশের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে সকাল থেকে একশর বেশি ট্রলার বন্দরে পৌঁছেছে। এখনো অনেক ট্রলার আসা বাকি আছে। সেগুলো রওয়ানা দিয়েছে।’
আলীপুর-কুয়াকাটা আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘যে ট্রলারগুলো এসেছে সেগুলো পাথরঘাটা, চরদোয়ানী, তুষখালী , পিরোজপুরসহ বেশ কয়েক স্থানের। আবহাওয়া খারাপ হলে নিকটবর্তী স্থানে তারা চলে আসে। তবে যারা এখন তীরে আসেনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দ্রুত তীরে ফিরে আসতে বলা হচ্ছে।’
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ঘূণিঝড় মোখা বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময়ে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএস