বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় তাদের দুপুর ১টায় গ্রেফতার করেন সংস্থার উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এর আগে আদালত পিকে হালদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত।
এর আগে গত সোমবার দুদকের জব্দ করা ৭৬৯ কোটি টাকার বিষয়ে পিকে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ব্যানার্জী ও পাপিয়া ব্যানার্জীকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও দুদকে হাজির হননি কেউ।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী সব মিলে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে পিকে হালদারের ৪০টি ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে ঋণ নেওয়া ছাড়াও তার মা লীলাবতী হালদারের ৩টি ব্যাংক হিসেবে ১৬০ কোটি টাকা জমা হয়। একইভাবে স্বজনদের বিভিন্ন কোম্পানির নামে করা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ১৭টি ভুয়া কোম্পানিতে থাকা ৫৮টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের যেসব শেয়ার কেনা হয় তার প্রত্যেকটিতেই পিকে হালদার সিংহভাগের অংশীদার। এর মধ্যে সুখদা লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে অবন্তিকা বড়ালের নামে।
পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অবন্তিকার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এ বিষয়ে জানতে পিকে হালদারের কথিত বান্ধবী অবন্তিকাকে গত ডিসেম্বরে তলব করা হলেও হাজির হননি তিনি। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, আদালতের আদেশে যে ১৭টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ হয় সেখানে অবন্তিকার নামেও শেয়ার রয়েছে। সুখদা লিমিটেডে পিকে হালদারের ৯০ শতাংশ ছাড়াও মা লীলাবতী হালদার ও অবন্তিকারও শেয়ার ছিল বলে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের মালিকানাধীন অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এনবিএফআইয়ের কাছ থেকে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। পরে এ অর্থ পাচার করে পি কে হালদার। তবে সোমবার দুদকের জব্দ করা ৭৬৯ কোটি টাকার বিষয়ে পিকে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ব্যানার্জী ও পাপিয়া ব্যানার্জীকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা থাকলেও গত তিন দিনে তারা দুদকে হাজির হননি।
নদী বন্দর / পিকে