অনাচারের ওপর ভিত্তি করে কোন সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারের পতন অত্যাসন্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দলের সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতি বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত, খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ জণসমাবেশ চলাকালীন সময়ে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।
পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন- খুলনা মহানগর বিএনপি’র সদস্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হিলটন, মহানগর বিএনপি’র সদস্য ও সদর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক কে এম হুমায়ন কবির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সজীব তালুকদার ও ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান রিপনসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী এবং ২২ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ মিলন, রাসেল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা-মোঃ শহিদুল মোল্লা ও মোঃ সেকেন্দার শেখসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়াও জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল এবং আজ নেত্রকোনা জেলা বিএনপি’র সদস্য, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল, মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শরীফ মিয়া, সুয়াইর ইউনিয়ন বিএনপি’র ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি ইয়ার ইসলাম, মদন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির ও জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান ভূঁইয়া লিটনসহ ৩২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুলনা জেলা ও মহানগরের শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশে পুলিশের এই হামলা, গুলিবর্ষণ এবং নেত্রকোনা জেলায় গণ-গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুলনা জেলা, খুলনা মহানগর ও নেত্রকোনায় গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করেন এবং খুলনা জেলা ও মহানগরীতে পুলিশের গুলিতে আহত নেতৃবৃন্দের আশু সুস্থতা কামনাসহ দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
নদী বন্দর/এসএস