1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের ফলন ও দামে খুশি কৃষক - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩
  • ৭১ বার পঠিত

এবার ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার হাট-বাজারগুলোয় উঠতে শুরু করেছে কাঁচা ও পাকা মরিচ। মরিচের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়া রেলস্টেশনসহ প্রতিটি রেললাইনে এখন লাল মরিচের সমারোহ। মরিচ শুকিয়ে বাজারজাত করলে বাড়তি দাম পাওয়া যায়। তাই লাইনের শুকনো মাটির ওপর পাটি বিছিয়ে শুকাতে দেওয়া হচ্ছে লাল মরিচ।

এ রেল গেইট এলাকায়ই প্রতিদিন কয়েকটি এলাকার চাষিরা মরিচ শুকাতে আসেন। এখান থেকেই মরিচ পাইকারি দরে কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।

https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/111-20230525121405.jpg

স্থানীয় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন এ স্টেশন এলাকা থেকে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার শুকনা মরিচ কেনাবেচা হয়।’ 

লিয়াকত আলী লাবু ১ বিঘা জমিতে বিন্দু ও বাঁশগাড়া জাতের মরিচ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিড়ানি, সেচ ও পরিচর্যা পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মরিচ উৎপাদন হচ্ছে কমপক্ষে ১০ মণ। এবার প্রতি মণ মরিচ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।’

কৃষক শাহীন আলম বলেন, ‘এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। দামও পাওয়া যাচ্ছে ভালো। এ রেল গেইট এলাকার প্রায় ৭০ ভাগ কৃষকই মরিচ চাষের সঙ্গে যুক্ত। আমি ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ১ লাখ টাকা খরচ হলেও লাভ থাকবে প্রায় ৩ লাখ টাকা।’

সামেদুল নামে এক কৃষক বলেন, ‘পৌষ মাসে চারা রোপণ করার পর থেকে উৎপাদন পর্যন্ত প্রায় ৬ মাস প্রয়োজন। বিন্দু, সেকা, মাশকারা, মল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের মরিচ হয় এ এলাকায়।’

স্বামীর সঙ্গে মরিচ শুকাতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচের চারা রোপণ, সার-বিষ, রোদে শুকানোসহ সব কাজ নিজেরাই করি। গতবারের তুলনায় অনেক ভালো মরিচ হয়েছে। মরিচ নষ্ট হয়নি। দামও বেশ ভালো। আমরা এবার খুশি।’

jagonews24

এদিকে জমিতে মরিচ সংগ্রহের কাজে শিশু-কিশোরের পাশাপাশি পরিবারের বয়স্করাও যোগ দেন। প্রতিটি মরিচের ঝুড়ি ভর্তি হলে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হিসেবে দিনে আয় করছেন কমপক্ষে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ২২৩ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ১৬৩ কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদিত হবে।’

নদী বন্দর/এসএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com