রাতের ঘটনার জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ। বিবাদে লিপ্ত গ্রুপের নাম সিএফসি ও সিক্সটি নাইন।
বুধবার (৩১ মে) রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন তারা। সংঘর্ষে পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মীসহ আটজন আহত হন।
উভয় গ্রুপের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর দেড়টায় ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ওই দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। তবে এবারের সংঘর্ষের সূত্রপাত কীভাবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় সংঘর্ষ শুরু হয়। দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে শাহজালাল হল থেকে সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ের রাস্তার সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উভয়পক্ষের মাঝে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পালটা ধাওয়া চলে। প্রশাসনের সামনেই দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দিতে দেখা যায় উভয় গ্রুপের কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মীকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় কতজন আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
এ বিষয়ে চবির সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, একজন বেশি আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে আমরা অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। আমরা তাদের সংঘর্ষ বন্ধে কাজ করছি। প্রশাসন উভয়পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করছে।
সংঘর্ষে লিপ্ত সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিক্সটি নাইন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
নদী বন্দর/এসএস