মোংলা বন্দর জেটিতে দুটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেলে জেটির সম্মুখভাগে নাব্য কম থাকায় একটি জাহাজ কাত হয়ে পড়েছে। জেটিতে প্যানডার না থাকায় আঘাত ও ঘষায় আরেকটি জাহাজের ক্ষতি হয়েছে।
পাথর বোঝাই এম.ভি তুহিনা নামক বিদেশি জাহাজটি ১৮ জানুয়ারি বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সেখানে নাব্য সংকটের কারণে মুরিংরোপ ছিড়ে গিয়ে জাহাজটি কাত হয়ে পড়ে। জাহাজটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইন্সের খুলনা ম্যানেজার সাধন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বন্দর জেটির সম্মুখভাগে ৭ মিটার গভীরতা রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু জাহাজটি সেখানে রাখার পর দেখা গেছে ৪ মিটার সাড়ে ৪ মিটার গভীরতা রয়েছে। যার ফলে ভাটার সময় জাহাজটি কাত হয়ে যায়। এতে জাহাজের ক্যাপ্টেন আমাদের এবং বন্দর চেয়ারম্যান ও হারবার মাষ্টারের কাছে অভিযোগ করেছে।
অপরদিকে রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মেশিনারী নিয়ে ‘এম.ভি ইউ.এইচ.এল ফোকাস’ নামের আরেকটি জাহাজ বৃহস্পতিবার ৯ নম্বর জেটিতে ভিড়ার সময় জেটির বাহিরের অংশে প্যানডার না থাকায় আঘাত ও ঘষায় জাহাজটির বাহিরের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে বন্দরের ৭ ও ৯ নম্বর জেটি এলাকায় ড্রেজিং করা হয়েছে। মাত্র ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে ড্রেজিং এলাকা কিভাবে ভরাট হয়ে যায় এবং নাব্য সংকটের সৃষ্টি হয়- এ নিয়ে নানান অভিযোগ রয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীদের।
নাব্য সংকটে জাহাজ কাত হয়ে পড়ার ঘটনার বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন বলেন, এম.ভি তুহিনা জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিযোগ দিয়েছে তার জাহাজের তলদেশ মাটিতে আটকে যাচ্ছে, ভাটার সময়ে। কিন্তু গত এক মাসে জেটিতে আরো যে জাহাজগুলো ছিল, তাদের কোনো অভিযোগ ছিল না।
অপরদিকে জেটিতে প্যানডার না থাকায় ‘এম.ভি ইউ.এইচ.এল ফোকাস’ জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যা আছে তাই। রাষ্ট্র যে অবস্থায় রাখছে মোংলা বন্দর। মোংলা বন্দর যেভাবে এগুচ্ছে সেভাবেই তাদেরকে থাকতে হবে। যদি না থাকতে পারে, আসবে না। প্যানডার লাগানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে যতগুলো জাহাজ আসবে তারা একটু সাফার করবেই।’
নদী বন্দর / এমকে