1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে তিস্তা, পানিবন্দি পাঁচ হাজার পরিবার - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন
লালনিরহাট প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩
  • ৭৪ বার পঠিত

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। সোমবার (১৯ জুন) বিকেল ৩টায় তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার নিচে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।

এর আগে সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়।

এদিকে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে স্কুলমাঠ ও রাস্তাঘাট। পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।

ডালিয়া পয়েন্টের ভাটি এলাকায় নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

jagonews24

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তীরবর্তী এলাকায় রাস্তা ডুবে যাওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গরু-ছাগল ও পোষাপ্রাণী নিয়েও ভোগান্তিতে পড়েছেন পানিবন্দি লোকজন।

আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন হায়দারিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কাল থেকে পানি বাড়ছে। স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পানি উঠেছে। পানির ভেতর দিয়েই স্কুলে যাচ্ছি।

jagonews24

হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কমেও গেছে। আমরা সবসময় খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।

নদী বন্দর/এসএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com