1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সুনামগঞ্জে কেটেছে বন্যার শঙ্কা, কমতে শুরু করেছে পানি - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ৫০ বার পঠিত

টানা ১০ দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পর অবশেষে উজ্জ্বল ঝলমলে নীল আকাশের দেখা মিলেছে। গতকাল ২৩ জুন থেকে আকাশের কালো মেঘ কেটে সোনালী রোদ ওঠায় কমতে শুরু করেছে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমার পানি। কমেছে পাহাড়ি নদী যাদুকাটার পানি। বন্যার আতঙ্ক কেটে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।

তবে উজানে পানি নেমে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাটি এলাকা দিরাই, জগন্নাথপুর নদীগুলোতে। গত কয়েকদিনে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ছাতকসহ জেলার অন্যান্য এলাকার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত জেলায় বসত ঘরে পানি ঢোকার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আজকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ৪৮ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ স্টেশনে ২১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচে ৭.৩১ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ছাতক স্টেশনে ১৪ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপরে ৮.৯১ মিটার সমতলে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মাত্র ২  মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।  আগামী কয়েকদিন সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস না থাকায় বন্যার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ । 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের সুরমাসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করেছে। ছাতকে আজকেও বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তবে কমেছে সুনামগঞ্জ স্টেশনে। গত কাল এবং আজকে বৃষ্টি কম হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস না থাকায় বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে যদি ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে সুনামগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। 

এদিকে নদীগুলো পানিতে ফুলে উঠলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করলেও জেলার অধিকাংশ হাওরগুলো এখনও পানিতে পরিপূর্ণ হয়নি। নদীতে পানির চাপ কমাতে নদী থেকে হাওরে পানি ঢোকার জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে ও স্লুইস গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। হাওর পুরোপুরিভাবে পানি ধারণ করলে নদীর পানি কমে যাবে। তবে যে কোনো সময় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জ। 

ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরের জামান চৌধুরী বলেন, ছাতকের বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ঘরবাড়িতে পানি ঢোকেনি। ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেখানের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ছাতক উপজেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবিলা এবং ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জন্য অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। দোয়া করি যেন ত্রাণ বা বন্যা মোকাবেলা সেই পর্যন্ত যেতে না হয়। এর আগেই পানি কমে যায়। 

নদী বন্দর/এসএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com