1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কুড়িগ্রাম নদীভাঙনের মুখে নির্মাণাধীন মুজিব কেল্লা - Nadibandar.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩
  • ৬৩ বার পঠিত

বর্ষার শুরুতেই পানি বাড়তে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে। এতে শুরু হয়েছে নদীৎভাঙন। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ফুলবাড়ি উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের গোরকমণ্ডপ গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষরা। অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন অন্য জায়গায়। আবার কেউ বা সব হারিয়ে ঠাঁই নিচ্ছে সরকারি বাঁধে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাওডাঙা ইউনিয়নের গোরকমণ্ডপ এলাকায় রয়েছে দুটি মাদরাসা, স্কুল ও দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে একটি মুজিব কেল্লা। অথচ খামখেয়ালিপনার কারণে উপজেলা যাওয়ার একমাত্র বাঁধটি ভাঙতে বসেছে। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানুষের বসতবাড়িসহ বিলীন হয়ে যাবে সরকারি বেসরকারি সব স্থাপনা।

চর মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু বক্কর বলেন, ধরলা নদী যে হারে ভাঙছে দু-একদিনের মধ্যেই গোরকমণ্ডপ জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

চর গোরকমণ্ডপ এলাকার বাসিন্দা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, গত একমাসে এ গ্রামের প্রায় ১৫০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চলাচলের একমাত্র বাঁধটিও বিলীনের পথে।এ মুহূর্তে সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিলে বাঁধটিও রক্ষা করা যাবে না। এ বাঁধটি ভেঙে গেলে এ অঞ্চলের ৮-১০টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

ভাঙনের শিকার মো. আহাদ আলী বলেন, খুব ইচ্ছে ছিল বাপদাদার ভিটেমাটিতে আজীবন থাকবো। কিন্তু ধরলার ভাঙন সেই আশা শেষ করে দিলো। গতকাল ভিটেমাটি নদীতে চলে গেছে। উপায় না পেয়ে বাপদাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছি। জানি না কপালে কি আছে।

নাওডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাসেন আলী বলেন, আমার ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডপ বাঁধটি অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। গ্রামটির প্রায় দুইশো পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে আছে হাজার পরিবার। ভাঙনের মুখে পড়েছে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন মুজিবকেল্লা, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু-একদিনের মধ্যে ভাঙন ঠেকাতে না পারলে ওই গ্রামগুলোর মানুষেরা বিশাল দুর্ভোগে পড়বে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চর গোরকমণ্ডপ এলাকা ধরলা নদীর বাম তীরে ভাঙনকবলিত হচ্ছে। আমরা নজরদারিতে রেখেছি। এছাড়া জেলায় ২৬টি পয়েন্টে প্রায় ২৫ কিলোমিটার অতি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। সাড়ে চার কিলোমিটার নদীভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলমান। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের পর্যাপ্ত মালামাল রয়েছে।

নদী বন্দর/এসএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com