সরকার ইচ্ছা করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সরকার বলছে আমরা বিরোধী দলকে কোনো বাধা দেই না। এটা সম্পূর্ণ ভাঁওতাবাজি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে গোটা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে।
সোমবার রাতে মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলক। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়, ধ্বংস করেছে, বিরোধী দলকে যারা দোষারোপ করতে চায়, তারা বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে এসব করাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের নারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়েছে। সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। তারা একের পর এক আইন করছে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের একটি চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য আছে। এ বৈশিষ্ট্য হলো তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা একাই থাকবে। এজন্যই তারা সব দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল একটি মাত্র দল থাকবে, তা হলো বাকশাল।
বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করছে এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, যেদিন থেকে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তখন থেকে যত নির্বাচন করেছে, সব ভাঁওতাবাজি। কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালে তো কোনো ভোটই হয়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা ও এ বি এম মোশাররফ হোসেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি