1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
রোববার থেকে সব মাধ্যমিকে তালা, ‘নিশ্চুপ’ মন্ত্রণালয় - Nadibandar.com
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩
  • ৬৭ বার পঠিত

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১৬ জুলাই (রোববার) থেকে সারা দেশে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় তালাবন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে শিক্ষকদের ১০টি সংগঠন। শিক্ষকরা জানান, সরকার থেকে জাতীয়করণের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না। তবে, এক্ষেত্রে একেবারেই ‘নিশ্চুপ’ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘ঢাকার বাইরে আছেন’ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘শিক্ষকদের অবস্থানের বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় অবগত আছেন। তবে মন্ত্রী মহোদয় এ মুহূর্তে ঢাকা বাইরে অবস্থান করছেন। তাই কিছু বলতে পারছি না’।

এ বিষয়ে জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সচিবের একান্ত সচিব মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘সচিব মহোদয় গত দুদিন ধরে অসুস্থ। আমি নিজেও স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না’।

এর আগে, শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালাবন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া।

গত ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। আজ চতুর্থ দিন শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ  অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে, শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে শনিবার সকাল থেকে সারাদেশের সব শিক্ষক-কর্মচারী ঢাকায় আসবেন বলে পূর্বে ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষকদের দাবি, দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। পরিতাপের বিষয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এক হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা পায়।

অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।

এ ছাড়াও, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের এক ধাপ নিচে দেওয়া হয়। তাছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।

শিক্ষকরা বলছেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। কয়েক বছর ধরে কোনও ধরনের সুবিধা না দিয়েই অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক।

বিটিএ সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমাদের এক দফা দাবি, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবো। আমরা পুলিশের সাথে কথা বলেছি। তাদের অবগত করেছি কর্মসূচির বিষয়ে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। 

তিনি বলেন, আমাদের এ আন্দোলনের সরকারের বিরুদ্ধে নয়। সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল-স্লোগান দিতে আমরা এখানে আসিনি। আমরা জাতীয়করণের দাবিতে এসেছি। আমাদের দাবি আদায় হলে আমরা স্কুলে ফিরে যাব।

বিটিএ সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা গত ১১ জুলাই থেকে এখানে অবস্থান করছি। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে চাই। দাবি আদায় হলে এক সেকেন্ডও দেরি করবো না আমরা। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবো না।

এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আগে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না দিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

নদী বন্দর/এসএইচবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com