বর্ষা ও পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরগুনার মাঝের চর এলাকার আলি আকবরসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের জমিজমা নেই। তাই নদীর চরে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
১ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান রাজা বলেন, ‘মাঝের চরের বরগুনা অংশের কিছু এলাকার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। খুব শিগগির এডিপির অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মাহাতাব হোসেন বলেন, খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যা গতকালের তুলনায় ৭ সেন্টিমিটার কম।
নদী বন্দর/এসএইচবি