কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে নিচু এলাকার আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া ও দিনমজুরর শ্রেণির মানুষজন।
রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পৌর শহরের কালিবক্সী ৬নং ওয়ার্ড ও হাসপাতাল পাড়া, ৭ ও ৮নং ওয়ের্ডে জলবদ্ধতার কারণে বিপাকে পড়েছে মানুষ। অনেকের ঘরে পানি ঢুকে ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। পানি বের হওয়ার স্লুইচ গেট বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে হাঁটুপানি জমে চলাচলের অসুবিধায় পড়ছে পৌরবাসী।
কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিল পাড়া এলাকার রিকশাচালক সুজন মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য গতকাল বের হতে পারিনি। আজ বৃষ্টিতে ২-৩ ঘণ্টা যাবৎ বের হলেও একটা যাত্রীও পাইনি। আর কিছুক্ষণ দেখে বাড়িতে চলে যাবো।
ওই ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার আজগার আলী বলেন, গতকালের টানা বৃষ্টিতে আমার ২ বিঘা জমির আমন আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে, এরকম বৃষ্টি হতে থাকলে ধান নষ্ট হয়ে যাবে। অনেক কষ্ট করে সেচ দিয়ে জমিতে ধান লাগিয়েছি। এতোদিন বৃষ্টির দেখা নাই। গতকাল থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে, কী যে হবে আল্লাহ পাক জানেন।
অপরদিকে বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাছাড়াও দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজিক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, পানি নেমে গেলে ঠিক হয়ে যাবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি