শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মহামারি করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত দুই-তিন বছর আমাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার একটু এলোমেলো হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করি।
তিনি বলেন, আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়ার চেষ্টা করবো। সেই অনুযায়ী ক্লাসে পাঠদান করানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সকালে রাজধানীর বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
আজ সকাল ১০টায় তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্ন ফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থেকেছি। এজন্য কোনো প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি, এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থেকে ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন বোর্ডে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব ৬০ দিনের মধ্যে একসঙ্গে রেজাল্ট প্রকাশ করতে।
ডা. দীপু মনি বলেন, দেশে ডেঙ্গু মহামারি বাড়লেও ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসাসহ বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমদ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
নদী বন্দর/এসএইচবি