আধুনিকায়নের এই যুগেও দড়িটানা নৌকায় খাল পারাপার হচ্ছে দুই গ্রামের অন্তত তিন হাজার মানুষ। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া ও দেবপুর গ্রাম। এই দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে দেবপুর খাল। এই খালের ৩ কিলোমিটার এলাকায় নেই কোন ব্রিজ কিংবা কালভার্ট। সড়ক কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে উপজেলা সদরসহ স্থানীয় বাজারে যাতায়াতে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। তাই এই খালের খান বাড়ি, হাওলাদার বাড়ি ও মিরাবাড়ি পয়েন্টে তিনটি দড়িটানা নৌকার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা।
প্রতিনিয়ত এ দড়িটানা নৌকায় খাল পারাপার হচ্ছে দুই গ্রামের ৩ হাজার মানুষ। ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা ও ১টি কলেজের শিক্ষার্থীরাও দড়িটানা নৌকায় খাল পেরিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করছে। এতে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গর্ভবতী মা ও অসুস্থ রোগীরা। তাই এ খালের উপর সেতু নির্মানের দাবি স্থানীয়দের।
ধানখালী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী হুমায়রা আক্তার বলেন, আমরা দক্ষিণ দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের খাল পার হয়ে কলেজে যেতে হয়। অনেক সময় নৌকায় খাল পার হতে গিয়ে পড়ে গেছি। আবার অনেক সময় নৌকার দড়ি টানতে গিয়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে আমরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছি।
একই গ্রামের শাহিন মিয়া বলেন, এখানে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোন সেতু নেই। বর্ষা মৌসুমে সড়কে কাদা জমে একাকার হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে দড়িটানা নৌকায় আমাদের খাল পার হতে হয়। আমরা ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। তাই এই খালের উপর অন্তত দুইটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ন জানান, দেবপুর খালে ৩৫ মিটার এবং ৭৫ মিটারের দুটি ব্রিজ নির্মাণের লক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচবি