জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থতার জন্য আর্থিক ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবই দায়ী বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে গৃহীত অভিযোজনমূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্ব নেতৃত্ব হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের অনলাইন জলবায়ু অভিযোজন সামিট (সিএএস) ২০২১-এ প্রচারিত দুই মিনিটের রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে সম্মেলনে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট স্বাগত বক্তৃতা দেন।
এই শীর্ষ সম্মেলন বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। যার লক্ষ্য হলো বিশ্বকে জলবায়ু অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে, ভবিষ্যতের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার প্রক্রিয়াও অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অর্থ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বৈশ্বিক অভিযোজনমূলক পদক্ষেপগুলো ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সাম্প্রতিককালের কোভিড-১৯ এর অভিজ্ঞতা সবার জন্য একতাবদ্ধ হওয়া এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের জন্য বাংলাদেশকে প্রায়শই ‘গ্রাউন্ড জিরো’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয়ভাবে গৃহীত অভিযোজনমূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্ব নেতৃত্ব হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা- ২১০০ গ্রহণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তার সরকার সারাদেশে সাড়ে ১১ মিলিয়ন গাছের চারা রোপন করেছে এবং ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছে। বন বিনিয়োগ পরিকল্পনানুযায়ী বাংলাদেশ খসড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ইউএনএফসিসিসি প্রক্রিয়ার মূল দলিল হবে ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের গৃহীত স্থানীয় ব্যবস্থার ভিত্তিতে আমাদের নিজস্ব জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ৪৪৩ মিলিয়ন ডলারের ৭৮৯টি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’ অধিকন্তু, সিভিএফ (জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ ফোরাম) এর সভাপতি এবং অভিযোজন সম্পর্কিত গ্লোবাল সেন্টারের দক্ষিণ এশীয় কার্যালয়ের হোস্ট হিসাবে ‘আমরা স্থানীয়ভাবে গৃহীত অভিযোজন পদক্ষেপগুলো প্রচার করছি যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝুকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য সুস্পষ্ট সমাধান দিতে পারে।’
নদী বন্দর / পিকে