বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় যমুনার সারিয়াকান্দি মথুরাপাড়া স্টেশনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৬ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এ পয়েন্টে যমুনা নদীর বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল দুপুর ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা) নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ সেন্টিমিটার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক।
বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা এবং ধুনট যমুনা নদী তীরবর্তী উপজেলা। যমুনায় পানি বাড়লে এই তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে প্লাবিত হয়। তবে গাবতলী উপজেলা সারিয়াকান্দির সাথে লাগোয়া হওয়ায় এই উপজেলারও বেশ কিছু এলাকা বন্যায় আক্রান্ত হয়। বন্যায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় সারিয়কান্দি উপজেলা।
জানা গেছে, যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, বোহাইল, কাজলা, চন্দনবাইশা, সারিয়াকান্দি সদর, হাটশেরপুর, কুতুবপুর, ও কামালপুর ইউনিয়নের ১২২টি চরের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী লোকজন তাদের গবাদি পশু সাথে নিয়ে বাঁধে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এছাড়া এসব এলাকার রোপা, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানসহ অন্যান্য ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানের ওদিকে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে কারণে আমাদের এদিককার নদ নদীতে পানি বাড়ছে। যমুনায় আরো ৩/৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়বে। আগামী ৭ দিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপরেই থাকবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি