যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়েছে সিরাজগঞ্জের প্রায় ৪২টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল। একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে এসব অঞ্চলের আবাদি জমি ও পানিবন্দি হয়ে পড়ছে শতশত পরিবার।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার পর্যন্ত জেলার ৪২টি ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার ৬৫৭টি পরিবার পানিবন্দি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সেটা আজ বেড়ে হয় তো দুই হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, যমুনা নদীর পানি সকালে সিরাজগঞ্জের হার্ড পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে কাজীপুর মেঘাই পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। তবে পরবর্তীতে উন্নতি লাভ করবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে শনিবার পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজীপুর উপজেলার ৪৪৫ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রোপা আমন ২৮৫ হেক্টর, সবজি ৪৩ হেক্টর, আউশ ৪০ হেক্টর, বীজতলা ৩২ হেক্টর, কলা ৫ হেক্টর ও আখ ২৫ হেক্টর।
নদী বন্দর/এসএইচবি