ফ্রান্স দূতাবাস টুইট বার্তায় আরো লিখেছে- আগামী বছরগুলো আমাদের অংশীদারি আরো সুসংহত করবে, এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর ছিল দুই দেশের জন্য একটি অনন্য মাইলফলক। ওই সফরের সময় যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়নসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব খাতে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এ ছাড়া দুই দেশই আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় পরিমণ্ডলে সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছিল।
স্যাটেলাইট কারখানা স্থাপন, উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাবে অগ্রগতির ইঙ্গিত
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ফ্রান্স ২০২১ সালে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল। বাংলাদেশ এবার ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারে। এ ছাড়া ফ্রান্স কিছু উড়োজাহাজ বিক্রি করতে চায়। বাংলাদেশ দুটি কার্গো উড়োজাহাজসহ ১০টি এয়ারবাস কিনতে রাজি হয়েছে।
সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উঠবে আশা ঢাকার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উঠবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরে তিনি ঢাকায় আসছেন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি/সমঝোতা হতে পারে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোজসভার আয়োজন করবেন। সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
নদী বন্দর/এসএকে