সরকার পতনের আন্দোলনে সামনে কঠিন সময় আসছে জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতাকর্মীদের এ আহ্বান জানান তিনি।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে গণমিছিল বের করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। উত্তরের মিছিলটি রামপুরা থেকে এবং দক্ষিণের মিছিলটি কমলাপুর থেকে বের হয়ে নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। এরপর সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা একে একে বক্তব্য দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে ডায়াসে যেতে না যেতেই বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে ভিজেই মহাসচিবের কথা শোনার অপেক্ষায় ছিলেন নেতাকর্মীরা।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আপনারা ভিজছেন, কষ্ট করছেন। সামনে আরও কষ্ট হবে। এর মধ্যদিয়েই এ সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে রোদ-বৃষ্টির মধ্যে আপনাদের এ মিছিল প্রমাণ করে এ দেশের মানুষ এখন আর শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব অনৈতিক কাজগুলো করছে। আজকে এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ যে আওয়াজ তুলেছে, তা রুখে দেওয়ার ক্ষমতা এ সরকারের নেই।’
আন্দোলন নস্যাৎ করতে সরকার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘অনেক চক্রান্ত করছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে বুকে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে ভয়াবহ এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। যতই চক্রান্ত করুক, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করতে হবে।’
এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আযম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বকুল, শামা ওবায়েদ, এমরান সালেহ প্রিন্স, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির পাশাপাশি আজ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকেরাও রাজধানীতে একই কর্মসূচি পালন করে। এ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। ব্যস্ত সড়কে মিছিলের জন্য নগরীর অনেক জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
নদী বন্দর/এসএইচবি