যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার ঘটনায় ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। বিমানের উপর দায় বর্তালেও দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে লন্ডনের বিমান অফিস। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেটে ঘষামাজা করে বিমানে উঠেছিলেন এই যাত্রীরা।
ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ বিমানে করে সিলেটে যাওয়ার পর কোয়ারেন্টিন থাকাবস্থায় ২৮ জন যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির ঘটনা এখন ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আলোচনা তুঙ্গে। এ ঘটনায় কমিউনিটি জুড়ে বেড়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক।
তবে, বিমান বাংলাদেশ এর লন্ডন অফিসের দাবী কোন যাত্রী করোনা ভাইরাসের পিসিআর টেষ্ট ছাড়া বিমানে বোর্ডিং করেনি। তাহলে, কিভাবে এতো যাত্রীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলো – সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীদের মাঝে একজনের সার্টিফিকেট অন্যজনের নাম বদলিয়ে ব্যবহার করেছে, যে কারণে কোয়ারেন্টিন থাকা অবস্থাতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হতে পারেন অনেকে। এ বিষয়ে সতর্ক করেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যবিভাগে কর্মরত বাংলাদেশি খসরুজজামান।
তবে, ভুয়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে কেউ লন্ডন থেকে উড্ডয়ন করলেও সেটি সনাক্ত করার কোন উপায় বিমান কর্তৃপক্ষের নেই বলে জানান লন্ডনস্থ বাংলাদেশ বিমানের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও এই ঘটনায় বেশ বিব্রত হলেও ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। বিমান বাংলাদেশ এর লন্ডন অফিসের সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও তিনি জানান।
নদী বন্দর / পিকে