রাজবাড়ীতে দুই সপ্তাহে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি। হুমকিতে রয়েছে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। আর তাই স্থায়ীভাবে নদী শাসন ও অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নদী ভাঙন রক্ষায় পদ্মা পাড়ের চর নারায়ণপুরে মিজানপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কোরবান আলী মোল্লার সভাপতিত্বে চলে ঘণ্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, পদ্মার ভাঙনে মিজানপুরের মহাদেবপুর থেকে চর নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বা দায়িত্বশীল কোনো ব্যাক্তির দেখা নেই। ভাঙনে ফসলি জমি পদ্মায় বিলিন হচ্ছে।
এভাবে ভাঙতে থাকলে তাদের বসতবাড়িও নদীতে চলে যাবে। এছাড়া অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বালু কাটার ইজারা দেওয়া হয় যেখানে, সেখান থেকে না কেটে এই এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এবং বালু উত্তোলনে নিষেধ করলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখায় ব্যবসায়ীর লোকজন।
প্রশাসনের নির্দেশে প্রায় এক বছর বালু কাটা বন্ধ থাকলেও ফের ওই চক্রটি বালু কাটার জন্য সক্রিয় হয়েছে। এটি বন্ধ করা না গেলে যতটুকু জমি অবশিষ্ট আছে, সেটুকুও থাকবে না। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড শুষ্ক মৌসুমে বালুর বস্তা না ফেলে বর্ষা মৌসুমে ফেলে, তাও পরিমাণে খুবই কম। আর এবছর তো পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেখাই মেলেনি।
মানববন্ধনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, স্থানীয় নজর মওলা নজরুলসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, রাজবাড়ীতে পদ্মার প্রায় ৫৬ ও গড়াইয়ের ৩৮ কিলোমিটার ভাঙন প্রবণ এলাকা। পদ্মার ভাঙন রোধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখন তারা এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি