মেক্সিকোর ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে হালাল মাংস রপ্তানির পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ইবারো আমেরিকানা ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘আন লিজিং ইকোনমিক পটেনশিয়াল: ব্রিজিং বাংলাদেশ অ্যান্ড মেক্সিকো’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
বক্তব্যে তিনি ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছে।’ উল্লেখ করে বলেন, করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মতো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
সেমিনারে COMEXI-এর মহাপরিচালক নাথান উলফ লাস্টবেডার বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করে বাণিজ্য বাজারের বৈচিত্র্যের উপর জোর দিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান বাংলাদেশের অনুকূল বাণিজ্য ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে আলোচনা করেন। দেশটির ব্যবসায়ী নেতা এবং নীতিনির্ধারকদের কৃষি, ওষুধ, আইসিটি, খেলাধুলা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির মতো একশোটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুযোগ অন্বেষণ করার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ইবারো আমেরিকানা ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বিভাগের সমন্বয়ক ডঃ আরিবেল কনটেরাস সুয়ারেজ, মেক্সিকোর অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। এছাড়া দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিশাল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা সম্পর্কে মতামত বব্যক্ত করেন।
মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সেমিনারটি পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে সমন্বয়মূলক অংশীদারিত্ব, কৌশলগত বিনিয়োগ, উদ্ভাবনী অনুশীলন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বাজার অনুসন্ধানের জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
নদী বন্দর/এসএইচবি