শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল প্রায় প্রতিদিনই বিঘ্নিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে প্রতি ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে এই রুটের উভয় পাড়ে কম করে হলেও ৬০ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ২০১৫ সালে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় পরীক্ষামূলক ১০টি ফেরিতে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন ফগলাইট স্থাপন করা হয়। ব্যয়বহুল এই লাইট স্থাপন করার পরও ঘন কুয়াশায় কোন কাজে আসেনি।
ফেরির মাস্টার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কুয়াশার ঘনত্বের কাছে ফগলাইটের আলো মিটমিট করে জ্বলে, কিছুই দেখা যায় না। এ মাসে আলাদা নয়দিনে কম করে হলেও ঘন কুয়াশার কারণে ৮০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কর্তৃপক্ষ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়ার সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, শীত মৌসুমে ঘনকুয়াশার কারণে মাঝে মাঝে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় বঞ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, পাটুরিয়া প্রান্তে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গাড়ি পার থেকে আয় হয় ৩০ লাখ টাকার মতো। দুই প্রান্ত মিলে ৬০ লাখ টাকা।
বিআইডব্লিউটিসির তথ্যমতে, ভাষা শহীদ বরকত, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, খানজাহান আলী, শাহপরান, শাহ্আলী, কেরামত আলী, আমানত শাহ ও কপতী নামের ফেরিতে স্থাপন করা হয় ফগলাইট। ছয় কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি ফগলাইট কেনা হয়। সংযুক্ত করা হয় ২০১৫ সালের ৫ জুন।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের এ জি এম মো. জিল্লুর রহমান জানান, ফগলাইট কোন কাজে আসছে না। যখন ঘন কুয়াশা পড়ে তখন কুপির আলোর মত মিটমিট করে আলো।
তিনি আরও বলেন, আমি এ বিষয়ে বিজ্ঞ না। আমার জানা মতে ঘন কুয়াশার জন্য কোন প্রযুক্তি যা ফেরিতে ব্যবহারযোগ্য তা আসেনি। আর আগের ফগলাইট ছিল পরীক্ষামূলক।
নদী বন্দর / পিকে