1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে - Nadibandar.com
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
রংপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৯৩ বার পঠিত

ভারতের উত্তর সিকিম অঞ্চলে টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহড়ী ঢলে চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাংলাদেশেও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রংপুরের তিস্তা নদীতেও বাড়ছে পানি। কাউনিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে।

এদিকে গংগাচড়া তিস্তা পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে কাউনিয়ার ঢুসমারা, গনাই, হয়বৎ খাঁ, আজম খাঁর চড় প্লাবিত হয়েছে।

বন্যার এই পূর্বাভাস পাওয়ার পর বুধবার থেকে রংপুরের গংগাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন তিস্তা নদীবেষ্টিত চর ও নিচু অঞ্চলের মানুষকে দ্রুত উঁচুস্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে। এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় মসজিদ থেকেও চলছে মাইকিং। সেইসঙ্গে বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রস্তুত করা হয়েছে।

কাউনিয়া বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, বালাপাড়া ইউনিয়নের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, তিস্তার গংগাচড়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে লক্ষিটারী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী বাঁধের কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় লক্ষিটারীর পূর্ব অংশ প্লাবিত হয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা রয়েছেন। চেষ্টা করা হচ্ছে ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে বালুর বস্তা ফেলে আটকাতে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চরের মানুষকে বুধবার থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করছি। বন্যায় যেন মানুষের জানমালের ক্ষতি না হয়, সে লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে। বন্যা স্থায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।

অন্যদিকে, কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক বলেন, কাউনিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ঢুস মাড়ার চড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষি জমিতে পানি উঠেছে। তবে এখনও বাড়ি ঘরে কোথাও পানি উঠেনি। কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

নদী বন্দর/এসএইচবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com