বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে এবং তিনি এসএমই শিল্পের উন্নয়নেও নিরলস কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই সকলকে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের রপ্তানী সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হতে হবে।
শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক আয়োজিত ‘ইমপ্রুভিং এক্সপোর্ট ক্যাপাবিলিটিস অফ এসএমই’স সাকসিডিং গ্লোবালি আপন এলডিসি গ্রাজুয়েশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সেমিনারে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকলস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের অ্যাম্বাসাডর ইসা ইউসুফ আলদুহাইলান বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ফাইজুল ইসলাম।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ডিসিসিআই-এর উদ্যোগে এসএমই’র সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক সেমিনার খুবই সময়োপযোগী। এই সেমিনারের মাধ্যমে এসএমই সেক্টরের আরও অনেক সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে এমএমই সেক্টরের অবদান প্রায় ত্রিশ ভাগ, যা প্রশংসনীয়। এই সেক্টরের রপ্তানী সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক ও কার্যকর নীতি গ্রহণের পাশাপাশি অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্পিকার বলেন, এসএমই সেক্টরের সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিরসনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পথ সুগম করতে হবে।
এ সময় তিনি ডিসিসিআই’র সফলতা কামনা করেন এবং প্রতিষ্ঠানটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে গতিশীলতা আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সমীর সাত্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
সেমিনারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, উদ্যোক্তাগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি