আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ে ‘টাকা-পে’ কার্ড উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে এ কার্ডের উদ্বোধন করেন তিনি।
‘টাকা-পে’ কার্ড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নিজস্ব অর্থে লেনদেনের বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন সচল থাকে সে কারণে আজকের এই ব্যবস্থাপনা (ন্যাশনাল স্কিম টাকা-পে)। শুধু বাংলাদেশ নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও লেনদেন যাতে নিজস্ব অর্থে করতে পারি, সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আলোচনা চলছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখন আমাদের টার্গেট হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আজ আমরা যে কাজটি করতে যাচ্ছি সেটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি পদক্ষেপ।
‘টাকা পে’ কার্ডের এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম লেনদেন করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
এদিকে ‘টাকা-পে’ কার্ডের মতো ভারতের রয়েছে ‘রুপি কার্ড’। একইভাবে শ্রীলঙ্কার ‘লঙ্কা-পে’, পাকিস্তানের ‘পাক-পে’, এবং মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের ‘মাদা-কার্ড’ নামে নিজস্ব কার্ড রয়েছে। এবার ‘টাকা-পে’ চালুর মধ্য দিয়ে সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশও।
টাকা-পে কার্ড হল এক ধরনের ডেবিট কার্ড। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্যাংক ইস্যু করতে পারবে। নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে। এই কার্ডের মাধ্যম প্রচলিত কার্ডের (ভিসা, মাস্টার) মতো লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা খরচ করছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। আগামী ডিসেম্বরে ডুয়েল কারেন্সি বা দ্বৈত মুদ্রা ব্যবহারের সুবিধা যুক্ত হলে ‘টাকা-পে’ কার্ডের মাধ্যমে ভারতীয় মুদ্রা রুপিও ব্যবহার করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
দ্বিপক্ষীয় লেনদেন চালু করতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক ইন্ডিয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে টাকা ও রুপি বিনিময় করতে ‘টাকা পে’ কার্ড ‘ডুয়েল কারেন্সি কার্ড’-এ পরিণত হবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি