অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি স্নাইপাররা। শনিবার আল-শিফা হাসপাতাল লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে কাউকে নড়তে দেখলেই গুলি ছুড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাদ্যম আল জাজিরা গাজার উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ইউসুফ আবু আলরিশের সাথে কথা বলেছে। আলরিশ বর্তমানে আল-শিফা হাসপাতালের ভিতরে রয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘এই মুহুর্তে আমরা সমগ্র বিশ্বকে সতর্ক করে দিচ্ছি যে, হাসপাতালের সব জেনারেটর বন্ধ, বিদ্যুতের সব উৎস বন্ধ। অথচ আমাদের ইনকিউবেটরে ৩৯টি নবজাতক রয়েছে, সেই শিশুরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। কেউ কম্পাউন্ডের চারপাশে ঘোরাফেরা করতে পারছে না। হাসপাতালের চারপাশে স্নাইপার ছাড়াও ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনও চলন্ত ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি করা হচ্ছে। কয়েক মিনিট আগে ইঞ্জিনিয়ারিং দলের একজনকে স্নাইপাররা গুলি করেছে। তিন ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন এবং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।’
যারাই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে উল্লেখ করে আলরিশ বলেন, ‘কয়েকটি পরিবার চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এখন তারা হাসপাতালের বাইরে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমরা তাদের কাছে যেতে পারছি না। আমরা সম্পূর্ণভাবে আটকা পড়ে গেছি, আমরা বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি এবং সর্বোপরি, আমাদের কাছে কোনো চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই।। আমরা মৃতকে দাফনও করতে পারছি না।’
যেকোনো সময় ইসরায়েলের গুলির আঘাতে তার মৃত্যু হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে ইসরায়েল হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, টেলিভিশনের পর্দায় জানানো হতো। এখন তারা একই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে, কিন্তু কেউ দেখছে না, কেউ শুনছে না। সারাবিশ্ব একপাশে সরে দাঁড়িয়েছে। আমার ফোনের ব্যাটারির যতটুকু চার্জ আছে তা দিয়ে কথা বলছি। একটু পরে আমরা চুপ হয়ে যাব।’
নদী বন্দর/এসএইচবি