জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ হরতাল শুরু হয়। চলবে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত।
এদিকে, হরতালে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, হরতালের আগের রাতে ট্রেনসহ অন্তত ১১টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কারও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে হরতালের ডাক দেন।
ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখান করে রিজভী তখন বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশন। জনমতকে উপেক্ষা করে একতরফাভাবে তফসিল জারি করে পুরো দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। এরপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফা, ১১ ও ১২ চতুর্থ দফা এবং ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধের ডাক দেয় দলটি।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩৩টি যানবাহনে (ট্রেন ছাড়া) আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৮৭টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচবি