ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘ফায়ারফাইটার’ পদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১৫ জন নারী সদস্য যোগদান করেছেন। নিয়োগপত্রের শর্ত অনুযায়ী শনিবার তারা নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।
রবিবার ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যোগদানের পর ১৫ নারী ফায়ারফাইটারকে মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রবিবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে নারী ফায়ারফাইটারদের স্বাগত জানান। পরে তারা মহাপরিচালকের সঙ্গে ফটোসেশন করেন। এ সময় অধিদপ্তরের দুজন পরিচালকসহ ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বছরের ২০ জুন ফায়ারফাইটার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ফায়ারফাইটার (মহিলা) পদে ২,৭০৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা ও মেডিকেল টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই ১৫ জন নারীকে চূড়ান্তভাবে ফায়ারফাইটার পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
সিভিল সার্জনের সুস্থতার সনদপত্রসহ শনিবার নারী ফায়ারফাইটাররা যোগদান করেন। ইতোপূর্বে ফায়ার সার্ভিসে অফিসার পদে মহিলা কর্মকর্তা যোগদান করলেও ফায়ারফাইটার পদে কখনো কোনো মহিলাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এমনকি নিয়োগের কোনো সুযোগও ছিল না।
ফায়ারফাইটার (মহিলা) পদে যে ১৫ জন যোগদান করেছেন তারা হলেন- মোছা. মাজেদা খাতুন, পাপিয়া খাতুন, পিংকি রায়, মোছা. মাইমুনা আক্তার, রিমা খাতুন, মিস মেহেরুন্নেছা মিম, মোছা. আরজুমান আক্তার রিতা, মিশু আক্তার, ঝর্ণা রানী পাল, মোছা. কাকুলী খাতুন, ইসরাত জাহান ইতি, মোছা. নাজমুন নাহার, মোসা. ইয়াসমীন খাতুন, মোছা. রুজিনা আকতার ও প্রিয়াংকা হালদার।
প্রসঙ্গত, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ অনুশাসন অনুযায়ী সম্প্রতি ‘ফায়ারম্যান’ পদের নাম পরিবর্তন করে ‘ফায়ারফাইটার’ নামকরণ করা হয়। এর ফলে এই পদে নারী-পুরুষ উভয়েরই প্রার্থী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
নদী বন্দর/এসএইচবি