নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আজকে দেখলাম যে আরেকটা জোট করে নির্বাচনে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে বিএনপির আরো অনেক সাবেক নেতাকে আমরা দেখছি, বিভিন্ন দলে তারা আসছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করে তাদেরকে নির্বাচনে আনা হচ্ছে কি না, নাকি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরো অনেক নেতা চলে আসতো। আমরা কাউকে চাপ সৃষ্টি করছি না।’
বিএনপি’র এ অপরাজনীতির সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করে। তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সহযাত্রী হতে চায় না বিধায় বা এ জ্বালাও পোড়াওয়ের বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে, সেজন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই তারা বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে বলে আমি মনে করি’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
গতকালকে একটি ব্রিফিং হয়েছে। সেখানে এসেছে, গাড়িতে যারা আগুন দিচ্ছে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে এবং এই ফুটেজ তাদের নেতা-নেত্রীদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এই অর্থায়ন এবং কারা এই নেতা নেত্রী-জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে প্রত্যেকেই বিএনপি নেতা। একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছে সেখানে।’
তিনি বলেন, ‘এটি কি জঘন্য, ন্যাক্কারজনক, ঘৃণ্য যে গাড়িতে আগুন দিলে, যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেওয়া হয়। আবার সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে সেটি আবার লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে তারপর এখানে ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়।’
এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ- এমন প্রশ্ন রেখে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলোতো জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাজ। জঙ্গি সংগঠনও তো এরকম কাজ করে না। তাদেরকে রাজনৈতিক দল বলা হয় বাংলাদেশে। এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে। এখন অবশ্য বলে না আর। এই অপরাজনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়।’
নদী বন্দর/এসএইচবি