ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সম্মতিতে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে। শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধবিরতিতে এরই মধ্যে ২৫ ইসরাইলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের কারও কারও দুর্বলতা বা ক্লান্তি থাকলেও সবাই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের চিকিৎসকরা। বন্দিদের বিষয়ে আগেই হামাস জানিয়েছিল, তারা মেহমান। সেভাবেই তাদের রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইলের পেটাহ টিকভা হাসপাতালে নেওয়া হয় হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ৮ জন শিশু ও নারীকে। তাদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেটাহ টিকভার স্নাইডার মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দেখা গেছে আটজনের অবস্থাই ভালো।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসক ও মনোবিদরা রয়েছেন।
এদিকে ইসরাইলের আরেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলন হাসপাতালে হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ৫ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালটি জানিয়েছে, তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তারা পরিবারের লোকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
এই ১৩ ইসরাইলি নাগরিক ছাড়াও ১২ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে ৫০ বন্দিকে হামাস মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। শনিবার আরও কয়েকজনকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল যে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ২৪ নারী ও ১৫ তরুণ। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন রুমের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে সেখানে পৌঁছান তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব। জিম্মিদের গাজা থেকে মুক্তির বিষয়টিতে যুক্ত থাকবে রেডক্রস ও যুদ্ধের অন্য পক্ষগুলো।
দীর্ঘ ৪৮ দিনের ভয়ঙ্কর আগ্রাসনের পর শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) গাজায় কার্যকর হয় চার দিনের যুদ্ধবিরতি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ মানুষের মনে। তাই সাহস আর তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাড়ির পথ ধরেছেন নিরীহ মানুষগুলো। তবে হামলায় বাসস্থানগুলো টিকে আছে কিনা তা জানা নেই তাদের।
নদী বন্দর/এসএইচবি