প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) অর্থ লোপাটে সহযোগিতা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ডে এনে তার বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে দুর্নীতি দমন কমিশনে-দুদক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার থেকে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) তিন ধরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক কার্যালয়ে তাকে আনা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের করার আদেশ দেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বলা হয়, পিকে হালদারের ধানমন্ডির সাড়ে চার কোটি টাকার ফ্ল্যাটটি অবন্তিকা বড়ালের নামে পাওয়া গেছে। এছাড়া পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন সুখদা কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারও তিনি। সুখদাসহ পারিবারিক বিভিন্ন কোম্পানির নামে পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাবে যে ১৬৫ কোটি টাকার লেনদেন হয় এবং অর্থপাচার হয় সেখানেও অবন্তিকা বড়ালের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এদিকে, সোমবার প্রায় ৩৫১ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে পিকে হালদারসহ ৩৩ জনকে আসামি করে আরও ৫টি মামলা দায়ের করে দুদক।
দুদকের করা আলাদা ৫ মামলার তথ্য বিবরণ থেকে জানা গেছে, পি. কে হালদারের মামাত ভাই শঙ্খ বেপারীর মুন এন্টারপ্রাইজ সবচেয়ে বেশি ঋণ জালিয়াতি করেছে। পিকের নিয়ন্ত্রণাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লোপাট করেছে। সবচেয়ে কম ঋণ জালিয়াতি হয় রহমান কেমিক্যালসে, ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার জালিয়াতি করা প্রতিষ্ঠানটির চেযারম্যান রোববার গ্রেফতার হওয়া পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী। এমন ৫ কোম্পানির নামে করা ৫টি মামলায় পিকে হালদার, তার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীসহ ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সোমবার দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, আসামিদের বিপক্ষে পিকে হালদারের সঙ্গে মিলে এ অর্থ লোপাটের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট ৫টি প্রতিষ্ঠানের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ৫টি পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হকসহ বোর্ডের অন্যান্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মিলে অসৎ উদ্দেশ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে টাকা বরাদ্দ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
নদী বন্দর / এমকে