1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ৯.৭ ডিগ্রিতে - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৫১ বার পঠিত

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। গত তিনদিন ধরে পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহের এ ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তার আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত তিন দিন ধরেই এ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

সকালে প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ ঢাকা পোস্টকে জানান, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে। ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে (৮-১০ ডিগ্রি) সে অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হয়। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার একই সময়ে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই ভোরে আলোর কিরণ ছড়িয়ে দেখা মেলে সূর্যের। কিন্তু রোদ উঠলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সকাল কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্নআয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

গ্রামের গৃহিণীরা জানান, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালী করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচন্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎকরা চিকিৎসরা পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্তদের মধ্যে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

নদী বন্দর/এসএইচবি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com